যাচ্ছেতাই প্রশ্ন যেখানে অদ্ভুত রসিকতার সৃষ্টি করে । ডাস্টবিনে পরে থাকে চিন্তার লাশ । ভাবনাগুলো সব আগুনে পুড়ে মরে । আর কানাগলির মোড়ে ঝুলে থাকে দীর্ঘশ্বাস ।
Category: স্বপ্নপোকার রোজনামচা
অনিরুদ্ধ ভালোবাসা
অনিরুদ্ধ ভালো লাগার পশ্চাতে ঝুরোঝুরো স্বপ্ন তালগোল পাকিয়ে শুধু তোমাকেই প্রকটিত করে । এক … দুই উর্ধ্বক্রমে সাজিয়েছি তোমাদের । এবং প্রতিবার, সবশেষে তোমাকে পেয়ে, আমি উল্লাসে টগবগ করে ফুটেছি । তারপর ঝরেছে বৃষ্টি । যদি তুমি দলছাড়া হয়ে, সে বৃষ্টতে ভিজে থাকো ; তবে নিশ্চিত তুমি আমাকে ভালোবাসো ।
পাপের অভিসন্দর্ভ
বর্ধিষ্ণু পাপ, দগদগে পাপ । অসহায় বেঁচে থাকা । অজস্র সাবধানতা ভেঙে যায়, পদতলে লুটিয়ে পড়ে কচি সাধুবাদ । তীক্ষ্ণ সাইরেনে পিছলে যায় রক্তপ্রবাহ । পরিনামে ঝকঝকে সাদা চাদর লাল হতে থাকে । অতঃপর লেজ গজালে, সতেজতা নুইয়ে পড়ে মনুষ্যত্বের । সমাধান কিন্তু নিজ হাতেই আঁকিবুঁকি আঁকে । তবু দগদগে পাপে মাছি খেটে মরে ।… Continue reading পাপের অভিসন্দর্ভ
সিক্ত তুমি
তোমাকে দেখলাম আর দেখে ব্যাকুল হলাম । তোমাকে দেখলাম যেভাবে বৃষ্টি দেখে কবি, জানালার গরাদের ফাঁক থেকে দিগন্তে । যেভাবে সবুজ পাতাগুলো ভিজে যায় রোদ-জল পিছলে পড়ে কচুরিপানায় ; তোমাকে তেমন ভিজতে দেখলাম । স্নাত দৌড়ালে তুমি, আমি মুগ্ধ হলাম । অবিরত তোমাকে ভাবলাম … ভাবনার জগতে, তুমি আবারো ভিজলে । অসহায় আমি; তোমাকে শুকোতে… Continue reading সিক্ত তুমি
সমীকরনের মৃত্যু
একদিন মৃত্যু হলো আমার প্রথম সত্তার । একটা স্তর খসে গেল । নতুন খোলসে আমি, পুনরধিকারে অঙ্গীকারবদ্ধ হলাম । দু’হাত তুলে স্লোগান দিলাম কাকপক্ষী পেল না টের । নিজের ভেতরে গুমরে মরল জেদ । বাড়ন্ত খেদটাও তেতে গেল সেই সাথে । নিজের দেহ আর সমাজটাকে এক করে দেখতে দেখতে যখন নিজের গালেই চড় কশালাম; বেমালুম… Continue reading সমীকরনের মৃত্যু
স্বপ্ন এবং আমি
প্রথম স্বপ্নটা আমার অনেক পেকে যায় । স্বপ্নে জাগে পোকা থোকা থোকা । অতঃপর ‘দূর হও’ বলে হাতে নিই বিবর্ণতার ধারাপাত । এবং স্বপ্নে বিষন্নতা এলে মনে হয় সটকে পড়ি । কিন্তু দেরি হয়ে যায়। বেড়ে যায় শুধু পান্ডুলিপির পান্ডুরতা ।
স্বপ্ন ও তুমি
স্বপ্ন বেড়ে গেলে, দু’য়ে দু’য়ে চার মেলাতে ভালো লাগে না । ভালো লাগে শুধু তোমার হাত ধরে হাঁটতে তোমাকে ভাবতে জোছনায় ভিজতে তোমার গন্ধ নিতে ইচ্ছা করে । আর তোমার স্পর্শ বুঝিয়ে দেয়, ভালোবাসা কারে কয় ।
তোমাকে বলছি
যাবে ??? কোথায় ??? সকাল যেখানে রাত্রির পাছায় চেপে ডিগবাজি খায় । ঊর্ণনাভ নারীর সুতোয় আঙুল আটকে যেখানে পুরুষেরা পথ হাটে । সে শহরের আকাশের রঙিন ঘুড়িগুলো যেন ব্যস্ত হৃদয় । এবং ভোকাট্টা ঘুড়িটা হলো, বিদীর্ণ হৃদয়ের প্রতীক । মানুষ সেখানে — উড়ে উড়ে যায় । কেটে কেটে যায় । নিজে নিজে ফেঁসে যায় ।… Continue reading তোমাকে বলছি
তোমার জন্য
বেঁচে রব ঠিক অস্বাভাবিকের মতো । কান্নার বুদবুদ উড়ে যাবে । অনন্ত মনের আকাশটা ভারি করতে । ব্যথায় কুঁকড়ে ছোট হয়ে যাব । নয়তো বেলুনের মতো ফুলে ফেটে যাব । বাতাস হব আমি, তোমাকে ছুঁয়ে যাবার আশা নিয়ে রোজ ।
আমি ও আমার মৃত পূর্বপুরুষেরা
অদৃশ্য কালিতে লেখা গল্পটার যখন শেষ ; তখন লেখক অবাক নিরপরাধ রাজ্যের গেট-পাস হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । আমরা ধূসর রাজ্যে সাদা গলির বাঁ পাশটায় দাঁড়িয়ে । সেখানে চেতনা হাতড়ে হাতড়ে হঠাৎ পেয়ে যায় একটা সদ্য গোটা পাণ্ডুলিপি। অদ্ভুত পান্ডুলিপিটার প্রতিটি পৃষ্ঠায় মানুষের হাতের গন্ধ থাকলেও কোনো দৃষ্টিগোচর বর্ণ নেই । হঠাৎ জল আর উত্তাপের… Continue reading আমি ও আমার মৃত পূর্বপুরুষেরা