একদিন মৃত্যু হলো আমার প্রথম সত্তার । একটা স্তর খসে গেল । নতুন খোলসে আমি, পুনরধিকারে অঙ্গীকারবদ্ধ হলাম । দু’হাত তুলে স্লোগান দিলাম কাকপক্ষী পেল না টের । নিজের ভেতরে গুমরে মরল জেদ । বাড়ন্ত খেদটাও তেতে গেল সেই সাথে । নিজের দেহ আর সমাজটাকে এক করে দেখতে দেখতে যখন নিজের গালেই চড় কশালাম; বেমালুম… Continue reading সমীকরনের মৃত্যু
Month: May 2011
স্বপ্ন এবং আমি
প্রথম স্বপ্নটা আমার অনেক পেকে যায় । স্বপ্নে জাগে পোকা থোকা থোকা । অতঃপর ‘দূর হও’ বলে হাতে নিই বিবর্ণতার ধারাপাত । এবং স্বপ্নে বিষন্নতা এলে মনে হয় সটকে পড়ি । কিন্তু দেরি হয়ে যায়। বেড়ে যায় শুধু পান্ডুলিপির পান্ডুরতা ।
স্বপ্ন ও তুমি
স্বপ্ন বেড়ে গেলে, দু’য়ে দু’য়ে চার মেলাতে ভালো লাগে না । ভালো লাগে শুধু তোমার হাত ধরে হাঁটতে তোমাকে ভাবতে জোছনায় ভিজতে তোমার গন্ধ নিতে ইচ্ছা করে । আর তোমার স্পর্শ বুঝিয়ে দেয়, ভালোবাসা কারে কয় ।
তোমাকে বলছি
যাবে ??? কোথায় ??? সকাল যেখানে রাত্রির পাছায় চেপে ডিগবাজি খায় । ঊর্ণনাভ নারীর সুতোয় আঙুল আটকে যেখানে পুরুষেরা পথ হাটে । সে শহরের আকাশের রঙিন ঘুড়িগুলো যেন ব্যস্ত হৃদয় । এবং ভোকাট্টা ঘুড়িটা হলো, বিদীর্ণ হৃদয়ের প্রতীক । মানুষ সেখানে — উড়ে উড়ে যায় । কেটে কেটে যায় । নিজে নিজে ফেঁসে যায় ।… Continue reading তোমাকে বলছি
তোমার জন্য
বেঁচে রব ঠিক অস্বাভাবিকের মতো । কান্নার বুদবুদ উড়ে যাবে । অনন্ত মনের আকাশটা ভারি করতে । ব্যথায় কুঁকড়ে ছোট হয়ে যাব । নয়তো বেলুনের মতো ফুলে ফেটে যাব । বাতাস হব আমি, তোমাকে ছুঁয়ে যাবার আশা নিয়ে রোজ ।
আমি ও আমার মৃত পূর্বপুরুষেরা
অদৃশ্য কালিতে লেখা গল্পটার যখন শেষ ; তখন লেখক অবাক নিরপরাধ রাজ্যের গেট-পাস হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । আমরা ধূসর রাজ্যে সাদা গলির বাঁ পাশটায় দাঁড়িয়ে । সেখানে চেতনা হাতড়ে হাতড়ে হঠাৎ পেয়ে যায় একটা সদ্য গোটা পাণ্ডুলিপি। অদ্ভুত পান্ডুলিপিটার প্রতিটি পৃষ্ঠায় মানুষের হাতের গন্ধ থাকলেও কোনো দৃষ্টিগোচর বর্ণ নেই । হঠাৎ জল আর উত্তাপের… Continue reading আমি ও আমার মৃত পূর্বপুরুষেরা
একদিন প্রতিদিন
স্বপ্ন দেখাটাই আমার স্বপ্ন । যখন ভোরে ঘুম ভাঙে একটা নতুন স্বপ্ন পাই । নরম সুন্দর সেসব স্বপ্ন । দিনের সূর্যের সাথে গলে যায় আমার স্বপ্ন । অথচ আর একটা স্বপ্ন পাবার আশায় ; আমার জীবনে রাত আসে, প্রতিদিন ।
একপেশে অসদাচরণ
ফাটাফাটি গল্পের ঝাঁপি; গল্প নাই, বিশেষণের ভিড়ে । গন্তব্য নাই, পথের ভিড়ে । স্থিতি অনাকাঙ্খিত, তবু চুপ, নিশ্চুপ, গর্তের ওমে ।
কপাট
কপাট খুলে দেখলাম নগ্ন নারী । অদ্ভুত আঁধারে অদ্ভুত দেহ তার । অবধারিত ভালোবাসায় আমি স্তব্ধ হই । স্বপ্ন ঘুমে হারিয়ে আমি রঙিন সুতো খুঁজি … সুতোয় জড়ালাম আমার নারীকে । তবু নারীর কপাট খুলে দেখি নি আজো ।
সূর্যের চোখে অশ্রু
সূর্যের চোখে অশ্রু । এতটা তাপ অগ্রাহ্য করে অশ্রু ঝরে । সর্বনাশের অস্থিমজ্জা পুড়ে কালা-ছাই হয়ে যায় । সেখানে অশ্রু ঝরে ।