আমি স্পস্ট ভাবে স্বীকার করছি
কাব্যকে ঘৃণা করি
আমি ও আমার মতো কবিদের |
আমি লিখে বা চিন্তায় যা প্রকাশ করি
তার কিবাই মেনে চলি |
আমি নিজেকে ও অন্য কবি লেখকদের দেখি
আমরা কাব্য করি
রঙ বাহারি কথার চালান হয় হর-হামেশাই |
আমি এই যে এসব লিখছি
আমার ভেতরটা কাঁদছে
কিছু না করতে পারার ক্ষোভে |
আমরা কাব্য করি
ক্ষুধার্ত মানুষের বুভুক্ষা নিয়ে |
আমায় একবার দেখতে হয়েছে …
(ছবিটি একটি কবিতার সাথে আটকে ছিলো)
একটি নারীর শুকিয়ে যাওয়া শরীর |
অন্নের অভাবে আর কষ্টে |
আর সেই নারীর কথা
ক্ষুধার কথা
অভাবের তিক্ত কথাগুলি
সোচ্চারে ঘোষণা করে লেখা
সেই কবিতাটি পড়ে আমি কেঁদেছি
এবং বলেছি
দারুণ লিখেছে |
কিন্তু কবিতাটি কি নিদারুণ ছিল না ?
আমি ও আমার মতো কবিরা
নারী ও প্রকৃতিকে
আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে
তুলনায় মাত্রা ছাড়িয়ে
একের পর এক কবিতা লিখি
আর সেইসব পড়ে
আমি জানি …
কোন অঞ্জাত নারীও পুলকিত হয় |
আর পুরুষেরা সেই সব প্রেমে ব্যবহার করে
ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয় |
আমরা উপভোগ করি এসব |
আর নারীরা সমাজে লাঞ্ছিত হলে ;
না রুখে (বাহুজোড় কম বলে কি)
তীব্র প্রতিবাদ করি
কবিতার ভাষায়
আবার সেই পুনরাবৃত্তি
দারুণ কবিতা |
কিন্তু পুরো ব্যাপারটাই কি নিদারুণ নয় ?
আর দেশ নিয়ে যত কবিতা লিখেছি
আমি ও আমার মতো কবিরা |
আর তাতে যতজন
তেতেছে … জেগেছে
জ্বলেছে দেশপ্রেমের আগুনে |
বদলে ফেলতে চেয়েছে ভুল ও পশ্চাৎপদতা |
আমি ও আমার মতো কবিরা
তার সমপরিমানে বুড়ো আঙুলটাও চুষিনি |
এবং এসব আমি দুর্বলতা ঢাকতেই লিখছি |
লিখছি নিজেকে ঘৃণা করি বলে |
‘সময়’ অদ্ভুতভাবে ভাবনা নিয়ে খেলে |
কারন … কিছু আগের বোধটা পাল্টে যাচ্ছে |
ভাবছি বেশ হল এই কবিতাটি |
পরে আমি যখন আবার কাঁদব
‘সময়’ যখন আবার পাল্টে যাবে |
যাবে নিশ্চয় |
নিমগ্ন কষ্টে আমি কাঁদব |
নিজেকে ধিক্কার দিতে দিতে |
তখন এই কবিতাটি …
একটা অজুহাত দাঁড়া করাতে
আমাকে সাহায্য করবে |