স্বপ্নপোকার শীৎকার

১. যদি ও কেবল যদি ভালোবাসো ; বন্ধু তবে এসো প্রেমের মক্‌স করি । ২. যতোবার তোমার কাছে গেছি ; ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছি । ৩. কান্না লুকিয়ে থাকে চারপাশে … অবসাদ মনের । ৪. কষ্টের সমানুপাতে তোমার স্পর্শ চাই ! ৫. কখনো কেউ একা আসেনা … তুমি জড়িয়ে যাবে । তুমি গড়িয়ে যাবে । ৬.… Continue reading স্বপ্নপোকার শীৎকার

প্রেম বড় অহেতুক

অহর্নিশি স্বপ্ন বুনে চলেছি ; ফলাফল বুদ্ধিনাশ । সব স্বপ্নই তোমাকে ঘিরে । জ্বলন্ত প্রেমের ; ছোট্ট ঘর এবং সবুজ প্রান্তরের । সচরাচর সবাই যেমনটি দেখে ! গদাই লস্করি চালে , আমার প্রেম এগিয়ে চলে , গহীন জীবনে । ক্লান্তিকর এ প্রেমের রাজ্যে , আমি এক ঘুমকাতুরে গোবেচারা । প্রেম বড় অহেতুক !?

ভালবাসা দিবসে আমি

ভালবাসার ব্যবসায়িক দিবসে, আমি ব্যস্ত অন্বেষণে । ৪কিলোবাইট/সেকেন্ড এ স্বপ্নগুলো ডাউনলোড হচ্ছে ; বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা । অপেক্ষায় ভালবাসা উবে যায় । তাই ভালবাসার দিনে, আমি একা একা ভেরেন্ডা ভাজি ।

অহেতুক, না অন্য কিছু

প্রতিশ্রুতি ভরা একটা অধ্যায় ফুরিয়ে গেল । কান্নার দমকে ছিটকে আসে পরবর্তী জীবন । অহরহ মনে পড়াটা ছিঁড়ে ফেলতে চায়, তবু লেপ্টে থাকে । চৌরাস্তার মোড়ে ব্যস্ত সময় কাটে । এবং ব্যস্ততাও মলিন । ‘খুলে ফেলো অন্তর্বাস, স্বেচ্ছা স্বাধীন আজ তুমি, জৈবিকতার টানে ছোটো ।’

লেবাস

লেবাস ধরেছি বেশ । অবশেষ শুধু দীর্ঘক্লান্তির অবসাদ । স্বপ্নপোকার কামড়ে অতিষ্ঠ জীবনযাত্রা আক্ষেপের, তবু সুন্দর । বার্ধক্যজনিত পুরোদস্তুর অসংলগ্ন বাক্যালাপ লেবাসের মাথা খায় । লেবাসেই বদ্ধ-বাস ।

কবি আমি – দিনমজুর

কেউ কবি ঠাওরে ডেকে নিয়ে যাবে বলে, অপেক্ষায় আছি। বসে আছি কবিতা নিয়ে। ভোরে। রেললাইনের দু’পাশের দিনমজুরদের একজন হয়ে। পেশিবহুল শরীর আর উদ্বিগ্ন মন নিয়ে। ভয়, অনিশ্চিত একটা দিনের। বাক্য কাটি, মাটি কাটি। কবিতা গড়ি, দালান গড়ি। সব এক, এখনকার ভাবনায়। পরে সবকিছু অন্যরকম।

প্রবেশাধিকার

আমি তোমার শরীরের প্রতিটি জায়গার প্রবেশাধিকার চাই । দাড়োয়ান কিংবা কুকুর যাকে দিয়েই করাও না তাড়া ; আমি টপকে পার হব তোমার জমিন ঘেরা বেড়া ।

ব্রাত্য

যখন নিজের হৃদয় চিড়ে দেখলাম, দেখলাম সেখানে নোংরা চিন্তার স্তূপ। অব্যবহৃত শক্তি। পুরান-বাতিল সব ভালোবাসার কৌটা। অসফলতার কয়েকটি জীর্ণ সার্টিফিকেট। খসে পড়া বই-এর মাঝে প্রেমিকার ছবি। ঘৃণার বাঁশিটার নাজেহাল অবস্থা । পচে যাওয়া আশা। ছাতা পড়া বিশ্বাস (পৃথিবীর প্রতি) । ছিঁড়ে যাওয়া ব্যক্তিত্ব । রীতিমতো , ব্রাত্য আমি।

বর্তমান

আমি লিলুয়া বাতাস শুঁকে দেখেছি , তাতে বাঙালির পেচ্ছাবের গন্ধ আছে । পচা রাজনীতির গন্ধ । কাঁচা মরে যাওয়া বিশ্বাসের দুর্গন্ধ । অনুভূতির সুবাসে বিদেশীপনার ঢং । লিলুয়া বাতাসে , কান পেতে শুনেছি হিন্দি গান । পরাণ তেতেছে । বন্ধ করেছি নাক , কান । এরপরই ঘনঘন থুতু ফেলার অভ্যাসটা আমার মাঝে এসে যায় ।

আষাঢ়স্য কবিতা

বর্ষাকে ঠাহর করতে গিয়ে এবার আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে আমি মাচান খুঁজি । বর্ষা না আসুক বান ডেকে গেছে। এ মৌসুমে কদম ফুল হাতে নিয়েছি একবার। প্রেমিকার খোঁপায় গুঁজতে গিয়ে সেটাও হারিয়ে গেছে। এবার খুব জোরেসোরে নামবে, এরকমই শোনা যাচ্ছে। তা নামুক । তবে আমার আবেগকে ভাসিয়ে না নিয়ে গেলেই হয়।